চলচ্চিত্র নির্মাতা অনন্য মামুন নির্মাণ করেছেন ‘কসাই’ সিনেমা। ঈদুল ফিতরে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এতে নিরবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নবাগত প্রিয়মনি। ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমায় দর্শক হৃদয় নাড়া দিয়েছেন তিনি। দর্শকের ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত এই নায়িকা।
প্রিয়মনি বলেন—‘আকাশ থেকে যেমন মুষলধারে বৃষ্টি নামে ঠিক তেমনি চোখ থেকেও মাঝে মাঝে মুষলধারে বৃষ্টি ঝরে। আজ নিজের অনুভূতিটা ঠিক তেমনই মনে হচ্ছে। এই অনুভূতি যদিও বলে শেষ করবার নয় তবুও বলছি। আমার মা নেই, যার কারণে প্রতি বছরই গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীতে মায়ের কবরের পাশে ঈদ কাটাই। বরাবরের মতো এইবারো ঠিক তাই করেছি। গ্রামে ইন্টারনেট সমস্যা থাকার কারণে নেটওয়ার্কের বাইরে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিলাম। গতকাল ঢাকায় পৌঁছে নেট কানেক্ট করতেই আমি বিস্মিত হয়েছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘কসাই’ সিনেমার রিভিউ দেখে অঝোরে চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়েছে।
দর্শকের ভালোবাসায় মুগ্ধ প্রিয়মনি বলেন, ‘হাজারো দর্শক হলে না গিয়ে ওটিটি প্ল্যাপফর্মে থেকে কসাই সিনেমা দেখে আমাকে নিয়ে এত প্রশংসা লিখতে পারবে যা আমার কল্পনাতীত। আমার অভিনয় নিয়ে দর্শকের এত প্রশংসায় স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছি। দর্শকের কাছে আমি ঋণী। সত্যিই আমার দায়িত্ব অনেকখানি বেড়ে গেল।’ শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে প্রিয়মনি বলেন, ‘হঠাৎ ইচ্ছে হলো নিজের সিনেমাটা একবার দেখি। শুরু করলাম কসাই দেখা। দেখতে দেখতে বুকের ভেতর শিহরণ দিতে শুরু করলো। টিভি পর্দায় এই সেই আমি যে কিনা ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যে একটামাত্র পাতলা সুতি শাড়িতে টানা শুটিং করেছি। অজ পাড়াগাঁয়ের একটি বাড়িতে কম্বল, কাঁথা, বালিশ ছাড়া কয়েকটি রাত কাটিয়েছি, আহা! সে কি কষ্ট! প্রিয়মনি অভিনয় ক্যারিয়ারে আরো পরিশ্রম করতে চান।
তার ভাষায়—‘মনে হচ্ছে আমার জন্মটাই হয়েছে যেন একজন অভিনেত্রী হওয়ার জন্য। একজন সুদক্ষ অভিনেত্রী হওয়ার জন্য চেষ্টার শীর্ষস্থানে পৌঁছাতে চাই। দর্শকের ভালোবাসার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।